নিজস্ব প্রতিবেদক:
আবুল কাশেম মিলন ২০১৮ সালে বিএনপি হতে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।তার যোগদানের পর সার্কিট হাউজ এলাকায় মহিপাল ১৩ নং ওয়ার্ডের অধীনে সিএনজি স্ট্যান্ড চাঁদাবাজি সহ সকল অপকর্মে একক গডফাদার ছিল এই মিলন।এখন হাসিনা সরকার পতনের পর পরই মিলন বিএনপি নেতা সাজতে শুরু করে।খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় নিজাম হাজারী কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন মিলন। মিলন নিজেও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং জেলা শ্রমিক লীগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন বলে জানান স্থানীয় যুবদল ছাত্রদলের কর্মীরা। এ বিষয়ে ফেনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন বাবলু জানান’ দেলোয়ার হোসেন মিলন মহিপালে নিজাম হাজারীর নির্বাচনী জনসভায় ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে আ’লীগে যোগ দেয়।তিনি কিভাবে এখন বিএনপি তে প্রবেশ করবেন।যদি তিনি ব্যক্তিগত ভাবে আ’লীগের বিরুদ্ধে মামলা করেন সেটা অন্য বিষয়। নিজাম হাজারী ও স্বপন মিয়াজীর ছবি ব্যবহার করে মহিপালে স্ট্যান্ড বাজি,সিএনজির চাঁদা আদায় সব করেছে।তাহলে নিজাম হাজারীর ন্যায় মিলন ও দোষী।এখন মিলন বিএনপির সহানুভূতি পেতে চাইলে তা হবে ভুল।
এ বিষয়ে জানতে মিলনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার কোন সদুত্তর মিলে নি।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর চট্টগ্রাম হতে ঢাকা যাওয়ার সময় খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে
উক্ত হামলার ঘটনা ঘটে।এতে যমুনা পরিবহনের একটি গাড়ি পুড়ে যায়। এ ঘটনায় তৎকালীন পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সাবেক এমপি
নিজাম হাজারী,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করিম উল্লাহ বি.কম সহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে ১শত ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।