সদর প্রতিনিধি:
মাদকের করালগ্রাসে জর্জরিত রেললাইন ঘেষা শর্শদীর ফতেহপুর গ্রাম।এখানে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম থাকায় জানে আলম চেয়ারম্যান থাকাকালীন ইয়াবা ও ফেন্সিডিলের রমরমা বানিজ্য স্পট ছিল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনে গুলি বর্ষন কারী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট ছিল মাদকের মূল হর্তাকর্তা। সরকার পতনের পর কিছুদিন বন্ধ থাকলেও জানে আলমের সহযোগিরা পূনরায় রেললাইনের পাশে ফতেহপুর ফ্লাইওভার সংলগ্ন এলাকায় নিরাপদ মাদকের আসর বসানোর ফন্দিতে ব্যস্ত।এতে অভিভাবকরা যেমন সংকিত তেমনি ছাত্ররাও আতঙ্কগ্রস্ত।
মাদকের এই থাবার বিরুদ্ধে শুক্রবার(২২ই নভেম্বর) ফতেহপুর "আমার সোনার বাংলায় মাদক ব্যবসায়ীর ঠাই নাই" এই প্রতিপাদ্য স্লোগান সামনে রেখে মাদকমুক্ত
শর্শদী ইউনিয়ন গঠনে র্যালীর আয়োজন করা হয়।
শর্শদি ইউনিয়ন ছাত্র দলের সাবেক সিনিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন'র নেতৃত্বে এসময় সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ একত্রিত হয়ে মিছিলে অংশ নেন। দেলোয়ার তার বক্তব্যে বলেন 'আমাদের এই ফতেহপুর এলাকায় বাল্য বিবাহ, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, কোন প্রকার দূর্নীতি চলবেনা। আজকের র্যালি থেকে সকলকে সাবধান করে দিচ্ছি, যারা অপকর্মের সাথে জড়িত, সাবধান হয়ে যান, অন্যথায় আমরা এই কু-কর্মকারীকে ধরে আইনের কাছে সোপর্দ করব।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিছিলে অংশগ্রহণকারী একাধিক লোকজন জানান' মাদকের কারনে তারা বিগত সময়ে ফতেহপুরে বসবাস করতে ভয় পেত।ফতেহপুর হতে মোহাম্মদ আলি বাজার পর্যন্ত মাদকের স্বর্গ রাজ্য ছিল।এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতো জানে আলম। এই স্পটে যত চোরাকারবারি, মাদক পাচার হত তাে নেপথ্যে ছিল জানে আলম। তার কাছে অনেক দোকানদার চায়ের বিল পায়,সে টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করে নি জানে আলম।
সম্পাদক ও প্রকাশক মুজাহিদুল ইসলাম জাবের
𝐌𝐨𝐛𝐢𝐥𝐞: 𝟎𝟏𝟔𝟒𝟕𝟐𝟓𝟕𝟎𝟔𝟏