বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের রাজপথের একটা আন্দোলন-সংগ্রামের সম্পর্ক রয়েছে। বিএনপির সিনিয়র নেতারা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিএনপির তৃণমূলের কিছু নেতাকর্মী অতি-উৎসাহী হয়ে গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলন-সংগ্রামের যারা ছিলেন, তাদের সঙ্গেও ঝামেলার সৃষ্টি করছেন। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, সেনাশাসন ডেকে আনবেন না। কোথাকার আগুন কোথায় যায়, কোন ঘটনায় কী হয়, সেটা কিন্তু বলা যায় না।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের জেলা ও মহানগর কমিটির উদ্যোগে এক গণসমাবেশে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশ সংস্কারের সময় দেওয়া হবে উল্লেখ করে নুর বলেন, আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। চাঁদাবাজ-দখলদাররা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের ফুটপাত, দোকান, কল-কারখানাসহ বিভিন্ন স্থানে কি চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে? দখলদারি বন্ধ হয়েছে? শুধু হাত বদল হয়েছে। সুতরাং দেশের এই পরিস্থিতিতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের হয়তো দুই বছরের মতো সময় লাগতে পারে। কিন্তু আমরা বলেছি, দুই বছর, কিংবা তিন বছর সময় লাগুক, রাষ্ট্র সংস্কার এবং নতুন বাংলাদেশ গড়তে যে কয় বছর সময় লাগে, আমরা সরকারকে সেই সময় দেব।
এসময় অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে যেন জনরোষ ও জনক্ষোভ তৈরি না হয়। দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, মানুষের যে ভোগান্তি, এগুলো নিরসন করতে না পারলে মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা দেবে। সরকারকে সতর্ক করে বলছি, আমরা আপনাকে সহযোগিতা করতে চাই। সবার সহযোগিতা নিয়ে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা আনুন। বর্তমানে রাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান যে নৈরাজ্য চলছে, সেগুলো বন্ধ করুন।
বাড়াবাড়ি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের বাড়াবাড়ি কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী প্রতিধ্বনি আমরা শুনতে পাচ্ছি। পুরোনোদের ব্যর্থতার জঞ্জাল অপসারণ করে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে চাই। নতুনদের রাজনীতিতে আগমনের কোনো বিকল্প নেই। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড বিরোধী দলের কর্মকাণ্ডে বাধা দিচ্ছে। ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে, হামলা করছে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ থেকে শিক্ষা নেন। এত বড় দল টিকতে পারেনি। শেখ হাসিনা জুতা পরার সময় পাননি। বাড়াবাড়ি বন্ধ করুন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, গণঅধিকার পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ, মহানগর কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আরিফ ভূইয়া প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক মুজাহিদুল ইসলাম জাবের
𝐌𝐨𝐛𝐢𝐥𝐞: 𝟎𝟏𝟔𝟒𝟕𝟐𝟓𝟕𝟎𝟔𝟏