কামরুল হাসান নিরব, ফেনী’
লেমুয়া হতে ফেনী যান চলাচলের আনন্দ সুপারের পর একমাত্র ভরসা সাদা রং করা ইমা সমূহ। প্রতি সিটে ৫ জন করে বসার ব্যবস্থা থাকলেও তারা সিটে বসান ৬ জন।তাছাড়া সামনেও নেন গাদাগাদি করে ২ জন।একজন বসেন ড্রাইভারের স্ট্রাডিং এর গদিতে।এতে গাড়ির ব্রেক বা গতি আকাঁবাকা করার সময় যাত্রীটির অসুবিধা হয়।পিছনে ৬ জন বসার পর গাদাগাদি রুদ্ধদ্বার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। নারী পুরুষে নেই বালাই।মালপত্র নিয়ে আসার বা নেওয়া ও তেমন সুযোগ নেই। এ যেন এক রীতিমতো শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ। টাকা দিয়ে যাত্রীরা বড়ই অসহায়। একই রুটে এক সময় বিভিন্ন স্ট্যান্ড এর বিভিন্ন রুটের গাড়ি চললেও বর্তমানে কেবল এক প্রকারের গাড়ি চলে। এতে হাজার হাজার যাত্রীর জন্য মাত্র কয়েকটি বাস ও কয়েকটি ইমা মোটেই ঠিক নয়।এ সুযোগ কে কাজে লাগিয়েছে এই রুটের চালকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৫ সালে মহাসড়কে সিএনজি ব্যবহারে আসে নিষেধাজ্ঞা। আবার বিভিন্ন সাইজের ইমা/উপকূল ও তখন বন্ধ হয়ে ছোট আকারের সাদা রং এর কিছু গাড়ি নামে।ক্রমান্বয়ে তারা ১০ হতে ১৫ এবং পরে ২০ টাকা করে।ভাড়া বৃদ্ধি করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করা যায় না।আবার রুটে রুটে ২ মিনিট ব্রেকেই যাত্রী উঠানামা করা হয়। সাধারণ লেমুয়া ব্রীজ হতে ফেনী যাওয়ার সময় মাত্র ১৫ মিনিট হলেও গাড়ি থামিয়ে থামিয়ে তারা ৩০ মিনিটের অধিক সময় ব্যয় করে।বিশেষ করে সকালে যাত্রীর চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তারা দীর্ঘ ক্ষন যাত্রী উঠায়।এতে নস্ট হয় মানুষের অতি মূল্যবান কর্মঘণ্টা। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ উদ্দিন নাছিম জানান’ বিষয় টি আমি দেখবো।’
ইউনিয়নের একাধিক আ’লীগ নেতা জানান’ মানুষের কস্ট কাকে বলে? তা কেবল লেমুয়া আসলে বুজা যায়। মিশুক অটোরিকশা ও ৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকা করল।আগে কেউ ১০ টাকা দিলে রিকশা চলত।এখন ৩০ টাকা ছাড়া চলে না।এ যেন এক মগের মুল্লুক! জিম্মি করে আদায় করা হয় ভাড়া!
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ওমর ফারুকের মতে’ লেমুয়া ইমা স্টেশন এবং রিকশা হতে কয়েকজন নেতা প্রতি মাসে মাসিক মাসোয়ারা নেন।তাদের বলা হয়েছে যা করার আমরা করব! তোমরা ভাড়া নাও!
এ বিষয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল জানান’ ভোটের পরে এই বিষয়ের সমাধান হবে।ইচ্ছে মত লেমুয়ায় চাঁদাবাজি ও ভাড়া নৈরাজ্য হবে না।’
বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক জানান’ ভাড়া বৃদ্ধি ও কমানো বাড়ানোর ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করতে হবে।সাধারণ জনগণের দাবি যাচাই করতে হবে এবং মানুষ মানে কতটুকু তা দেখতে হবে! এগুলো না করেই ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক এবং আইনত অপরাধ।