বিশেষ প্রতিনিধি:
মধুপুর এলাকায় বেপরোয়া মাদক বাণিজ্য, জেলা প্রশাসন ও নিজাম উদ্দীন হাজারী এমপির নিষেধ সত্ত্বেও ফসলি জমির মাটিকাটা এবং বিভিন্ন সময় সরকারি রাস্তার প্রায় ১৪০টি গাছ কেটে লোপাটসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা শরীফ খন্দকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে অপকর্মকারীরা।
শরীফ খন্দকার জানান, ফেনী পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ড মধুপুরকে একটি চক্র মাদকের আখড়ায় পরিণত করেছে। রাতভর মোটর সাইকেল ও সিএনজিযোগে ঐ এলাকায় মাদক সরবরাহ ও ক্রয়-বিক্রয় চলে।
ফেনী পৌর যুবলীগের সাবেক নেতা রেজাউল করিম নাদিমের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মাদকের সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে গোলাম মোস্তফার ছেলে আরিফ, রেজাকার মকবুলের ছেলে ছাত্রদল নেতা শহীদ, শাহজাহান ও মেহেদী।
তারা মধুপুর এলাকাকে মাদকের ডিপোতে পরিণত করেছে। এদিকে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মাহবুবের যোগসাজশে বিভিন্ন সময় সরকারি রাস্তার প্রায় ১৪০টি গাছ কেটে লোপাট করেছে শাহজাহান ও তার ছেলে মেহেদী। এলাকায় কয়েকজনের জমি জবর দখল, নারী কেলেঙ্কারিসহ শাহজাহানেরনবিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
গাছ কাটায় বাধা দেয়ায় শরীফের উপর ক্ষুব্ধ হয় তারা। গাছ কাটা, এলাকায় ফসলি জমির মাটিকাটা ও মাদক বাণিজ্যসহ যাবতীয় অপকর্মে কাউন্সিলর মাহবুবের সাথে অপকর্মচারীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা রয়েছে। শাহজাহানের সাইকা ফার্ম দীর্ঘটি ৬ বছর ধরে পরিত্যক্ত ছিল। অবশেষে গত ৬ মাস আগে মিজান কোম্পানির কাছে তিনি পরিত্যক্ত ফার্মের টিনগুলো নিজেই বিক্রি করে দেন।
শেডগুলো ভাঙ্গার সময় লেবার ছিল ফজল করিম, কালামসহ কয়েকজন। পরে তা মহিন ভূঁঞা গাড়িতে করে শাহজাহান নিজেই শহরে নিয়ে বিক্রি করে দেন। পরে নাদিমসহ অন্যান্য অপকর্মকারীদের ইশারায় শরীফ খোন্দকারের নামে ২ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়।
এদিকে আরিফ ও শহীদের বিরুদ্ধে পূর্বেই বিস্ফারণ, বোমা হামলা, ধর্ষণসহ ৫/৬ টি মামলা চলমান ছিল।
শরীফের সাথে ঘটনার ২ দিন আগেই পুলিশ আরিফকে ২টি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের এসআই অলি আহাদের বিরুদ্ধে যে সাজানো মামলার অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন।
পূর্বের মামলার ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে এসআই অলি আহমদ তাকে গ্রেপ্তার করে। উদীয়মান ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা শরীফ খন্দকারের বাড়িতে শাহজাহানের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে তার বড় ভাইয়ের হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলা হয়েছে। এছাড়া অপরাধীরা প্রতিনিয়ত শরীফ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।