সদর প্রতিনিধি
ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পদুয়া মিয়া মেম্বারের বাড়ির মাদক কারবারিরা পুলিশের উপর হামলার খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার বিকাল ৪ টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ওয়ারেন্টভুক্ত মো. হাসান (২৭) নামের আসামিকে ধরতে গেলে আসামি ও মাদক কারবারিরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। মামলা সূত্রে জানা যায়, ফেনী
মডেল থানার এএসআই অরুপ বড়ুয়া, সঙ্গীয় কনস্টেবল সোহেল চৌধুরী ও সিএনজি অটোরিকশার চালক মাইন উদ্দিন সোহাগের উপর হামলা চালায় মাদক কারবারিরা। মো. হাসান কে ধরতে গত সোমবার রাতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অরুপ বডুয়া অভিযান চালায় ধর্মপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পদুয়া মিয়া মেম্বারের বাড়িতে। পুলিশের উপস্থিতির টের পেয়ে মো. হাসান ঘরের ছাঁদ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটক করে। এসময় আসামীর শোর-চিৎকারে অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন পুলিশের চারপাশ ঘিরে ফেলে লাঠিসোঠা নিয়ে ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী মো. হাসান কে টানা হেচড়া করে ছিনিয়ে নেয় ও পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই এর চেষ্টা করে। পুলিশ বিষয়টি তাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে।
হামলায় পুলিশের ২ সদস্য ও পুলিশের কাজে ব্যবহৃত সিএনজির অটোরিকশার চালক মারাত্মক ভাবে আহত হয়। এসময় তারা পুলিশের কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডারও ভাংচুর করে। ধর্মপুর ইউনিয়নেট মিয়া মেম্বার বাড়ির মো. হাসান (২৭), সোহাগ (২৩), রিপন (২৬), রাজীব (২৭), দেলোয়ার ( ৪০), আমির হোসেন কাপ্পুল (২০), হৃদয় (২০), সুমন(৩৫) ও বক্কর (৩৫) নামের ৯ মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। অপর দিকে গত সোমবার মো. হাসানের মা হাছিনা বেগম বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানার এএসআই অরুপ বড়ুয়া ও সোর্স সোহাগসহ অজ্ঞাতনাম ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে সিআর ৩১৭ ধারায় আদালতে মামলা দায়ের করেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মাহফুজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা প্রদান পূর্বক আক্রমণ ও হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম, সিএনজি ভাংচুর করায় মামলা রুজু করা হয়। গত মঙ্গলবার বিকালে মামলার একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।