নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফেনীতে দিন দিন বেড়েই চলেছে কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম। এখন শহরে ছেড়ে গ্রামেও পাল্লা দিয়ে বাড়চে এসব গ্যাংদের তৎপরতা। ফেনী সদরস্থ লস্করহাট বাজারে দক্ষিন পিয়ার সুপার মার্কেটের পিছনে মঙ্গলবার( ১৩ই ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় এমদাদুল হক(২০) নামে একজন ফার্নিচার মিস্ত্রিকে রড় দিয়ে ফিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে ফেনী মডেল থানায় ভিকটিমের বড় ভাই এমরানুল হক পারভেজ ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহারের সূত্রে জানা যায় আলোকদিয়া গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ইলিয়াছের(৩৫) দোকানে ফার্নিচারের কাজ করে এমদাদ।তাদের দোকানটি লস্করহাট বাজারে হওয়ায় ঘটনার দিন দুপুরে তিনি ফেনীর উদ্দেশ্য দোকান হতে রওনা দেয়।এসময় তার কাছে দোকানের মালামাল ও মেশিন ক্রয় বাবদ ১৫ হাজার টাকা এবং তার নিজের ১০ হাজার ৫০০ টাকা সহ ফেনী মুখী হলে কতিপয় ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্যরা তাকে ধাওয়া করে। এজহার সূত্রে আসামিরা হল:
মেহেদী(২০),বাদল(২২),মুন্না (১৯),মেহেদী(১৮),ওমর(২০)। পরবর্তীতে তার কাছে থাকা টাকা দিতে বলায় এমদাদ দিতে অস্বীকার করে। এসময় তাকে লস্করহাট বাজারের দক্ষিণ পিয়ার সুপার মার্কেটের পিছনে নিয়ে যায় এবং বেদড়ক মারধর করে।একপর্যায়ে তার মুখে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে মুখে ৭টি সেলাই পড়ে।এসময় লোহার রড় ও লাঠির আঘাতে তার শরীরে বড় জখম করে।এসময় তার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ২৫ হাজার ৫০০ এবং হাতে থাকা ঘড়ি টি নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য ৯ হাজার টাকা।এসময় ভিকটিম এমদাদ ব্যাপক বাঁচাও! বাঁচাও বলে চিৎকার করলে ভবিষ্যতে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় ‘এরা একাধিক মামলার আসামি। মাদক,ছিনতাই সহ বিভিন্ন কাজে এরা নিয়মিত মানুষ কে বিরক্ত করেছে। কিছুদিন পূর্বে পরশুরামের দুইজন কিশোর কে আটকিয়ে তাদের মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করে।পরবর্তীতে মোটবি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ সহ স্থানীয় ইউপি সদস্য তাদের থেকে জব্দকৃত ফোন উদ্ধার করে’।
এবিষয়ে ফেনী মডেল থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান’ মামলার একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বাকিদেরও গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলচে’