লালমনিরহাটের পাটগ্রাম এলাকায় কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে এক জনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধ জনগণ।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে পাটগ্রামের বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে কোরআন শরীফ অবমাননা করার অভিযোগে এক জনকে পিটিয়ে হত্যা করে গায়ে পেট্রোল ও লাকড়ি দিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুদ্ধ জনতা।
জানা যায়, উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় বাজার মসজিদে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি প্রবেশ করে আসরের নামাজ আদায় করে। নামাজ শেষে উপস্থিত মুসল্লী ও ইমামকে গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয় দিয়ে মসজিদের ভেতরে থাকা অস্ত্র বের করতে বলেন। একপর্যায়ে তারা নিজেরাই মসজিদে অস্ত্র খুঁজতে থাকেন।
এ সময় র্যাকে রক্ষিত কোরআন শরীফ নিচে পড়লে তারা কোরআন শরীফের উপর পা রেখেই অস্ত্র খুঁজতে থাকেন। এ দৃশ্য দেখে মসজিদে থাকা মুসল্লী উত্তেজিত হয়। পরে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও কয়েক জন মুসল্লী উত্তেজিত মুসল্লীদের হাত থেকে ব্যক্তিদ্বয়কে উদ্ধার করে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে নিয়ে যান।
এদিকে কোরআন শরীফে পা রাখার খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত মুসল্লীরা বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করেন। এ সময় বিজিবি ও পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত মুসল্লীকে শান্ত করার চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে মুসল্লীদের আরোও একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল এসে ইউনিয়ন পরিষদের দরজা ভেঙ্গে দুই ব্যক্তির মধ্যে এক ব্যক্তিকে পেয়ে উত্তেজিত মুসল্লিরা গণপিটুনী দিয়ে হত্যা করেন। অতঃপর লাশ টেনে-হেঁচড়ে পরিষদের বাহিরে এনে পেট্রোল ও লাকড়ী দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আরও অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি গিয়ে অপর ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর মোবাইল ফোনে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক মুজাহিদুল ইসলাম জাবের
𝐌𝐨𝐛𝐢𝐥𝐞: 𝟎𝟏𝟔𝟒𝟕𝟐𝟓𝟕𝟎𝟔𝟏